ঢাকা : রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুর খবর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রুশ সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএ।
এদিকে কারাগারে পুতিনের কট্টর সমালোচকের মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। জার্মানির মিউনিখে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি কথা বলেন। ব্লিঙ্কেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র এখনো নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রুশ সরকার ও পুতিন নাভালনিকে কারারুদ্ধ করেছে। বিচার করেছে, বিষপ্রয়োগ করেছে। এখন তার মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এই তথ্যগুলো যদি সঠিক হয় তাহলে নাভালনির স্ত্রী এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, কারাগারে নাভালনির মৃত্যু এবং একজন ব্যক্তিকে থামাতে ভয়ের পরিবেশ তৈরির মাধ্যম যে সিস্টেম পুতিন তৈরি করেছেন তাতে তার হৃদয়ে পচন ধরেছে। রাশিয়া এর জন্য দায়ী। আমরা নাভালনি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যদি এই তথ্য সত্য প্রমাণিত হয়।
শুক্রবার কারাগারে নাভালনির মৃত্যু খবর জানায় রুশ কর্তৃপক্ষ। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন নাভালনি এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাকে সুস্থ করার সব চেষ্টা করা হলেও তাতে কোনো ফল আসেনি।
নাভালনিকে সাইবেরিয়ার একটি কারাগারে (ইয়ামালিয়ার তিন নম্বর পেনাল কলোনি) বন্দি রাখা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে স্থানীয় কারা কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। এছাড়া ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও একই কথা বলেছেন।
পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন নাভালনি। পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বীও মনে করা হত তাকে। ২০২১ সাল থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। উগ্রপন্থায় উসকানি ও অর্থায়ন এবং একটি উগ্রপন্থি সংগঠন প্রতিষ্ঠার দায়ে ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় রাশিয়ার আদালত।
এরই মধ্যে তিনি প্রতারণা ও অন্য অভিযোগের দায়ে সাড়ে ১১ বছর কারাভোগ করেন। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নাভালনি।
এমটিআই