ঢাকা : পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো সরকার গঠন সম্ভব হয়নি। দেশটিতে নির্বাচনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তবে সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি কোনো রাজনৈতিক দল। এমন অবস্থায় নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দলটি।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আলি সাইফ বলেন, ইমরান খানের দিকনির্দেশনা অনুসারে দল পাঞ্জাব ও কেন্দ্রে বিরোধী দলে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
ইসলামাবাদে কওমি ওয়াতানের সঙ্গে দেখা করার পর সাইফ বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে না দেওয়া হতো তাহলে আমরা ১৮০ আসনের জয় নিয়ে সরকার গঠন করতাম। ফরম-৪৫ অনুসারে আমাদের প্রার্থীরা জয় পেয়েছে।
পিটিআইয়ের আরেক নেতা মাশাল ইউসুফজাই বলেন, ২০২২ সালে যেসব রাজনৈতিক দল ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলো তাদের সঙ্গে তারা জোট করবে না। ইমরান খান এব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে নির্বাচনে কারচুপির ও আন্দোলনের ব্যাপারে এসব দলের সঙ্গে যুক্ত হতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিন্ধুভিত্তিক কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জোট গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের প্রধান পীর পাগারা বলেছেন, পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা বা সামরিক আইন জারি হতে পারে। সেনাবাহিনী এখন সবাইকে পরীক্ষা করছে। সামরিক বাহিনী ছাড়া কেউ দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে জোট গঠন করে সরকার আসার চেষ্টা করছে বড় দলগুলো। ইতোমধ্যে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপিসহ ৫টি দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকারের আসার কথা জানিয়েছে।
এমটিআই