ঢাকা : কে হচ্ছে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী? পিএমএল-এন ও পিপিপি জোটের প্রার্থী শাহবাজ শরিফ নাকি পিটিআই এর প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান। যাকে নিজেদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র এমপি বা এমএনএরা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ভোট হওয়া জাতীয় পরিষদের ২৬৪টি আসনের মধ্যে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ৯০টি আসনে জয়লাভ করে। ৭৯ আসনে জিতে দ্বিতীয় নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন।
যেহেতু কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি তার জোট সরকার গঠন হচ্ছে। পিএমএল-এন এবং পিপিপি সহ আটটি দল জোট গড়ে নতুন সরকার গঠন করতে চাইছে। তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী শাহবাজ শরিফ। বর্তমান পরিস্থিতিতে শাহবাজই দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে চলেছে বলে দেশটির ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডন এর এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সমবেত হবে এবং গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে।
শনিবার উভয় প্রার্থী জাতীয় পরিষদ সচিবালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন এবং যা যাচাই-বাছাই শেষে স্পিকার আয়াজ সাদিক উভয় পক্ষের নেতাদের উপস্থিতিতে তাদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেন বলেও জানায় ডন।
প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে ৩৩৬ পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট হবে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। নারীদের ৬০টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচন ছাড়াই রোববার প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হচ্ছে।
শাহবাজ যে আট দলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছেন তাদের হাতে ২০৫টি আসন রয়েছে। জিততে প্রয়োজন ১৬৯ ভোট। তাই শাহবাজের জয় অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়।
এমটিআই