ঢাকা: পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে মিসরের কায়রোয় পৌঁছেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের একটি প্রতিনিধিদল।
এদিকে দৃশ্যত দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া গাজায় অপুষ্টিতে মারা গেছে ১৫ শিশু। গতকাল রোববার নতুন দফায় কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ জানায়, হামাস প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলও কায়রোয় পৌঁছেছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদলের উপস্থিতির বিষয়টি তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রস্তাবিত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগির সাময়িক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে। হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল দাবি মেনে নিলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ঘিরে গাজার খান ইউনিস ও রাফায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। দেইর আল-বালাহতে ত্রাণবহরে হামলায় আটজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। হামাসকে বন্দী বিনিময়ে রাজি করাতে কার্যত শক্তি প্রয়োগের পথে হাঁটছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা ঘিরে পাল্টাপাল্টি দাবি জানিয়ে আসছে ইসরায়েল ও হামাস। দুই পক্ষের দাবিদাওয়ার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যস্থতাকারীদের।
আল-জাজিরার সাংবাদিক উইলেম মার্কস বলেন, ‘গত কয়েক দিন একাধিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কায়রো বা অন্যত্র যুদ্ধবিরতির আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে জীবিত জিম্মিদের তালিকা চেয়েছেন।’
আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যুদ্ধবিরতি ছয় সপ্তাহের সাময়িক হবে, নাকি স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের পথ উন্মুক্ত করবে। উইলেম বলেন, হামাস চায় এই যুদ্ধবিরতিই অন্তত স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়ার দিকে যাতে এগিয়ে যায়। অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসকে ধ্বংসের সুযোগ পেতে চান।
আগামী সপ্তাহে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, রোজা শুরুর আগেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এআর