• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইউনিসেফ

গাজায় নিহত ১৩ হাজারের বেশি শিশু, বাকিরা গুরুতর অপুষ্টির শিকার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১৮, ২০২৪, ০১:২১ পিএম
গাজায় নিহত ১৩ হাজারের বেশি শিশু, বাকিরা গুরুতর অপুষ্টির শিকার

ঢাকা : গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ১৩ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে এবং বর্তমানে জীবিত অন্য শিশুরা গুরুত্বর অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও দুর্ভিক্ষের কারণে বেঁচে থাকা শিশুদের 'কান্না করার শক্তিও নেই' বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল রোববার সিবিএস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে বা তারা কোথায় আছে তাও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। হয়তো তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের অন্য কোনো সংঘাতে এত শিশুদের মৃত্যুর হার কখনও দেখেননি বলেও জানান তিনি।

রাসেল আরও বলেন, ‘আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম যারা মারাত্মক রক্তাল্পতা এবং অপুষ্টিতে ভুগছে। এছাড়া পুরো ওয়ার্ড একেবারেই শান্ত। কারণ এই বাচ্চাদের কান্না করার শক্তিও নেই।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির দুর্ভিক্ষের শিকার হওয়া ঠেকাতে সাহায্য ও সহায়তার জন্য গাজায় সহায়তাবাহী ট্রাকগুলো নিয়ে যাওয়া ছিল ‘বিশাল আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ’।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর তথ্যমতে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিন শিশুর মধ্যে একজন শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থাটি আরও সতর্ক করেছে, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরলস ইসরায়েলি বোমা হামলার সম্মুখীন হওয়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

চরম দুর্ভিক্ষ ও মানবিক সংকটের মধ্যেই রোববার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মিসরের সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে স্থল হামলার হুমকির পুনরাবৃত্তি করেছেন। দক্ষিণ গাজার এই শহরে বর্তমানে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!