ঢাকা : ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘সামরিক অভিযান’ শুরুর পর রাশিয়ার গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে চেয়েছে জার্মানি। তাই শীতে গ্যাসসংকটের প্রভাব কমাতে সরকার বন্ধ হওয়া কয়লাচালিত পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছিল। আরও দুটি বন্ধের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও চালু রাখা হয়েছিল। তবে শীতকাল শেষ হওয়ায় কয়লাচালিত সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছে জার্মানি। উৎপাদক প্রতিষ্ঠান আরডব্লিউই ও এলইএজি গত রবিবার এ তথ্য জানায়।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক খবরে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে জার্মানি কয়লার ওপর নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে হামলা করলে জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আর এতে জ্বালানির মূল্য বাড়তে শুরু করে। সমাধান হিসেবে জার্মানি কয়লাচালিত কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো ও বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সময়সীমাও বাড়িয়েছিল বার্লিন। সবশেষ গত এপ্রিলে তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হয়।
ইউরোপে প্রধান গ্যাস সরবরাহকারী রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকেই গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে ইইউর দেশগুলোয় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রুশ গ্যাস কোম্পানি। অথচ গত বছরেই রাশিয়া ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করেছিল ইউরোপের দেশগুলোয়। এখন বিকল্প উপায়ের সন্ধানে তারা। জার্মানি বলছে, তারা দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজছে।
এদিকে, ইউরোপে গ্যাসের বাজার হারানোয় বিকল্প হিসেবে এশিয়ার বাজারে বিক্রি বাড়িয়েছে রাশিয়া; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে চীন ও ভারত মস্কোর জ্বালানি পণ্যের বড় ক্রেতায় পরিণত হয়েছে।
এমটিআই