ঢাকা: মুক্তিপণ নিয়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে তীরে পৌঁছানোর পর অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে সোমালিয়ার স্থানীয় পুলিশ।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুন্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই জলদস্যুদের সঙ্গে আল–শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ছিনতাই করা জলদস্যু দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযানে জলদস্যুদের দেওয়া মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুন্টল্যান্ড পুলিশ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে বলেন, ‘এভাবে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ উদ্ধার চলতে থাকলে জলদস্যুরা আরও উৎসাহিত হবে।’
এদিকে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে জাহাজটি দস্যুমুক্ত হয়। মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকরা মুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। তবে কত টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি প্রকাশ করতে তারা রাজি হননি।
জাহাজের মালিকপক্ষ মুক্তিপণ নিয়ে কথা না বললেও সোমালিয়ার এক জলদস্যু সেই তথ্য প্রকাশ করেছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি অর্থাৎ ৫৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা) মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করেছে তারা। ১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।
এমএস