ঢাকা : ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বৃহত্তর সংঘাত ঠেকাতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) ব্রাসেলসে ইউভুক্ত ২৭ দেশের নেতাদের প্রথম বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও সেটি তারা কীভাবে নেবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে বৈঠকে ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে লেবাননসহ সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেছেন, ‘আমরা মনে করি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সবকিছু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসরায়েল ‘নিজস্বভাবে বড় ধরনের হামলার জবাব যেন না দেয়।’
এদিকে ইসরায়েলের সীমান্তজুড়ে সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যেই ইরানের হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার (১৭ এপ্রিল) বলেছেন, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, সে সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেরা নেবে। ইরানের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ দেশগুলোর সংঘাত নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে নেতানিয়াহু বলেন, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, আমরা সে সিদ্ধান্ত নেবো। নিজেদের রক্ষার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে গত শনিবার ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বেইত হিল্লেল সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ দুটি ড্রোন দিয়ে ওই হামলার কথা জানিয়েছে। যদিও এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। খবর: রয়টার্স
এমটিআই