ঢাকা: মিয়ানমারে চলমান সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চায় আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে তারা জড়ো হয়েছেন। এক রোহিঙ্গা নেতাকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
২০১৭ সালে বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চলা নিপীড়নের তীব্রতা বাড়ায় মিয়নামারের সামরিক বাহিনী। ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে বাস করছে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
সম্প্রতি মিয়ানমারে জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সামরিক জান্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এই সংঘাত থেকে বাঁচতে আবারও রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদশ সীমান্তে।
আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মোহাম্মদ নূর হাশেম নামে এক রোহিঙ্গা নেতা জানান, সহিংসতার কারণে রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ছোট নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে ২০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে চলে এসেছে বলে জানান তিনি।
হাশেম বলেন, তার একজন ভাতিজা মংডুর গ্রামের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এরপর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছেন না। রাখাইনের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
কক্সবাজারে থাকা মোহাম্মদ রিজুয়ান খান নামে এক রোহিঙ্গাও আনাদোলুকে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সীমান্তে হাজারখানেক রোহিঙ্গা প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই দলবেঁধে বাংলাদেশ সীমান্তে আসছে রোহিঙ্গা।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা ঢল ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
কক্সবাজারে শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার আবু সালেহ মোহাম্মদ আনাদোলুকে জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত।
তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিয়ে তিনি কিছু শোনেননি বলে জানান তিনি।
এমএস