ঢাকা : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শত্রুতা নয় বরং দুই দেশের অংশীদার হওয়া উচিত। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফরের দ্বিতীয় দিনে তাদের মধ্যে প্রায় ৫ ঘণ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন শি।
প্রেসিডেন্ট শি মনে করেন, বৈশ্বিক দুই পরাশক্তির উচিত পরস্পরের প্রতি বৈরীভাব পোষণ না করে মিত্রতা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পারস্পরিক অংশীদারত্ব বাড়ানো। কারণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে দিয়েই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সমপরিমাণ অংশীদারত্ব অর্জন সম্ভব। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।
চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বেইজিং সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের উন্নতি ও সাফল্যে খুশি হয় এবং আশা করে বেইজিংয়ের উন্নয়নও যুক্তরাষ্ট্র আরও ইতিবাচকভাবে দেখবে। তবে এক্ষেত্রে যে কিছু বাধা আছে— তা স্বীকার করেছেন শি এবং ব্লিঙ্কেন উভয়ই। আর সেই বাধাগুলো হলো রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পকে চীনের সহায়তা, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগর।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে এই তিন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে শুরু হওয়া রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে চীন অস্ত্র-গোলাবারুদ সহায়তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। শি’র সঙ্গে বৈঠকে এ ইস্যুটি তোলেন ব্লিঙ্কেন।
শি বলেন, এটি রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার স্বাভাবিক বাণিজ্যিক লেনদেন যা কখনো বন্ধ হবে না। পাশাপাশি চীনের প্রেসিডেন্ট স্মরণ করিয়ে দেন যুদ্ধ এতদিন পর্যন্ত চলমান থাকার প্রধান কারণ ইউক্রেনকে পশ্চিমা বিশ্বের বিরামহীন অস্ত্র সহায়তা প্রদান।
এদিন শি’র সঙ্গে বৈঠকের আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সতর্কবার্তা বিনিময় হয়।
তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দিয়ে ওয়াং ই বলেন, কিছু ইস্যুতে চীনের রেড লাইন রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি তা অতিক্রম করে ‘নেতিবাচক পরিণতি’ বয়ে আনবে। ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কাজ করছে। দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে ফিলিপাইন ও অন্য মিত্র দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমটিআই