ঢাকা : ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করার মূল লক্ষ্য হলো— গাজায় ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে চায় তুরস্ক বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
শুক্রবার (৪ মে) ইস্তানবুলে একটি জাতীয় ব্যবসায়িক কমিটির আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।
এরদোগান বলেন, আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো— ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও নেতানিয়াহু সরকারকে একটি যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা, যেটি পশ্চিমাদের নিঃশর্ত সমর্থনের কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
নেতানিয়াহুর সরকারকে সমর্থন করার জন্য আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, তিনি আশা করেছিলেন যে, এই দেশগুলো তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তুর্কিকে ‘আক্রমণ’ করবে।
তিনি বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে আমাদের বাণিজ্য বিধিনিষেধের কারণে পশ্চিমারা কীভাবে আমাদের আক্রমণ করবে তা আমরা ভালোভাবে জানি। তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের জন্য এটি একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন একটি যুদ্ধবিরতি হয়, তখন গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্যের অনুমতি দেওয়া হয়। এটি আমাদের লক্ষ্য।
এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের অঞ্চলের কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা বা সংঘাতের দিকে অগ্রসর হই না। আমরা আমাদের ভূগোলে সংঘর্ষ, রক্ত ও অশ্রু দেখতে চাই না।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তারা বলেন, ইসরাইল থেকে তুরস্কে আর কোনো পণ্য আসছে না এবং যাচ্ছেও না।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের দুই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্দর দিয়ে ইসরাইলি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করছেন।
তিনি এক্সে লিখেছেন— স্বৈরশাসক এমন ব্যবহার করে থাকে। তুরস্কের মানুষ ও বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিকে উপেক্ষা করেছেন তিনি।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :