ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন ইউক্রেনের কিয়েভে পৌঁছেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাশিয়ার হামলার মধ্যেই তিনি দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংহতি জানাতে গেছেন। খবর রয়টার্স।
গত মাসে কংগ্রেসে ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার প্রথম ইউক্রেন সফর। এমন সময়ে তিনি ইউক্রেনে ভ্রমণ করছেন, যখন ইউক্রেন উত্তরপূর্ব সীমান্তে রাশিয়ার তীব্র বোমা হামলা থেকে রেহাই পেতে লড়াই করছে।
ব্লিংকেন ট্রেনে করে মঙ্গলবার ভোরেই ইউক্রেনের কিয়েভে পৌঁছান। তিনি আশা করছেন, তার এ উপস্থিতি ইউক্রেনবাসীকে দৃঢ় আশ্বাস দেবে যারা খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (১০ মে) ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার ওলেকসান্দর পাভলিউক এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের ২৬ মাস ধরে চলা লড়াই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে এ গুরুত্বপূর্ণ ধাপ শুরু হবে।
দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাভলিউক বলেন, ‘রাশিয়া জানে যে আমরা এক বা দুই মাসের মধ্যে যদি যথেষ্ট অস্ত্র পেয়ে যাই, তবে পরিস্থিতি তাদের প্রতিকূলে চলে যাবে।’
উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহের গতি ধীর হয়ে আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রস্তাবিত একটি সহায়তা প্যাকেজও কংগ্রেসে অনুমোদন না পাওয়ায় আটকে ছিল। গত মাসে সহায়তা প্যাকেজটি অনুমোদন পেয়েছে। এতেই ইউক্রেনের সামরিক খাত নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমটিআই