ঢাকা : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরেই বিরোধ চলছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায়। এবার সেই বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট হতাশা প্রকাশ করায় দেশটির মন্ত্রিসভার বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে বলে জানা গেছে। মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেন গ্যালান্ট।
রয়টার্স জানায়, কয়েক মাস আগে ইসরায়েলের সেনারা যেসব স্থানে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল, সেসব এলাকায় তাদের ফিরে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নেতানিয়াহুর কাছে স্পষ্ট কৌশল জানতে চান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। আর এতেই মন্ত্রিসভায় বিরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে বোঝা যায়।
যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকা কে পরিচালনা করবে তা নিয়ে নেতানিয়াহুর কোন দিকনির্দেশনা না থাকায় শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান অস্বস্তির বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, গাজা উপত্যকাটিতে একটি সামরিক সরকার স্থাপনে সমর্থন করেন না তিনি।
আর গ্যালান্টের এ বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেদের বিভক্তি স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার চার সদস্য।
গ্যালান্টের এ বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন মধ্যমপন্থি হিসেবে পরিচিত সেনাবাহিনীর সাবেক দুই জেনারেল বেনি গানৎজ ও গাদি এইজেনকট। অন্যদিকে কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির গালান্টের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার বিরোধ নিয়ে ‘এটি যুদ্ধ চালানোর কোনো পন্থা নয়’ শিরোনামে খবর ছাপে ডানপন্থি ইসরায়েলি ট্যাবলয়েড ইসরায়েল টুডে। সংবাদে বিভিন্ন দিকে তাকানো নেতানিয়াহু ও গালান্টের ছবি ছাপা হয়েছে।
হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা এবং গাজা থেকে জিম্মিদেরকে ফিরিয়ে আনাসহ উপত্যকাটিতে যুদ্ধ পরিচালনার কোন কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারন করেননি নেতানিয়াহু। এদিকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহুর প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য ক্রমেই জনগণের চাপ বাড়ছে ইসরায়েলি এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এতে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতাও প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছে।
এমটিআই