ঢাকা : হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাঈদ ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন।
সোমবার (২০ মে) দেশটির বেসরকারি সংবাদ সংস্থার বরাতে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৪ বছর।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই মাত্র ২০ বছর বয়সেই কারাজ শহরের প্রধান প্রসিকিউটরের দায়িত্ব নেন ইব্রাহিম রাইসি। সেখান থেকে ৬১ বছর বয়সে ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হন তিনি।
রাইসি এমন সময়ে প্রেসিডেন্ট হন, যখন ইরান একটি সামাজিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চাপে কঠিন সময় পার করছে।
ইব্রাহিম রাইসি ১৯৬০ সালে ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে জন্মম গ্রহণ করেন এবং অল্প বয়সে উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তাকে তেহরানের কাছে কারাজের প্রসেকিউটার-জেনারাল নিয়োগ করা হয়।
ইব্রাহিম রাইসি জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কট্টর রক্ষণশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সবশেষ বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।
বিচারব্যবস্থার ওপর অর্জন করেছেন উচ্চতর ডিগ্রি। মূলত ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির নতুন বিচারব্যবস্থা গঠনের পেছনে ছিল ইব্রাহিম রাইসির অনবদ্য অবদান।
রাজনৈতিকভাবে কট্টর রক্ষণশীল নেতা হিসেবে পরিচিতি তিনি। ১৯৭৯ সালে ইরানে সংগঠিত ইসলামি বিপ্লবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ছিল এই নেতার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।
১০ বছর ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর, ২০১৪ সালে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাইসি। এরপর ২০১৬ সালের এপ্রিলে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে পার্লামেন্টের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে যোগদান করেন।
এরপর ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিলেও মধ্যপন্থি নেতা হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হন তিনি। ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সমর্থন নিয়ে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিপুল জয় পান সাঈদ ইব্রাহিম রাইসি।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :