ঢাকা : শ্রীলঙ্কায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভারি বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি)।
এর মধ্যে রাজধানী কলম্বোর বাইরে সীতাওয়াকা এলাকায় বাড়ি তলিয়ে গিয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকা।
সোমবার (৩ জুন) বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল।
দেশটির নয়টি জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের পরিচালক প্রদীপ কোডিপিলি বিবিসিকে বলেন, কলম্বো এবং দক্ষিণের অন্যান্য এলাকায় বন্যার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
বিভিন্ন এলাকায় ৪০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের তথ্য নথিবদ্ধ করা হয়েছে। ছোটখাট বন্যার ঝুঁকি এখন বড় বন্যার ঝুঁকির দিকে।
সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র যেসব জরুরি সতর্কবার্তা দিচ্ছে, সেগুলো অনুসরণ করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কোডিপিলি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র বলছে, বৃষ্টির কারণে দেশটির ২৫টি জেলার মধ্যে ২০টিই দুর্যোগে পড়েছে। সামরিক বাহিনী দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে।
শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন দুশান ভিজেসিংহে বিবিসিকে বলেন, ত্রাণ বিতরণের কাজে ইতোমধ্যে তিনটি উড়োজাহাজ এবং উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
নৌবাহিনীর ১০টি টিম মোতায়েনের তথ্য জানিয়ে বাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন গায়ান বিক্রমাসুরিয়া বলেন, আরও ১১৬টি টিমকে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুলক্ষণা জয়াবর্ধনে বিবিসিকে বলেন, কিছু এলাকায় বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বুঝে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে কাজ করব।
এমটিআই