ঢাকা : পাকিস্তানের রাজনীতিতে অনেকটা বীরের মতো উত্থান ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের। তাই তো তাকে জেলে ঢুকিয়ে নির্বাচন করে নওয়াজ শরিফের দল।
এমনকি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও ভেঙে যাননি তিনি। আবারও নতুন করে রাজনীতির মাঠে নামার কৌশল আঁকছেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর জন্য তিনি তার দলের নেতাদের সংসদের ভেতরে এবং বাইরে যোগাযোগ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, দলের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদেরকে সংসদের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান। অপরদিকে সংসদের ভেতরের আইনপ্রণেতাদের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বলেন।
একদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য হাজির হয়েছিলেন ইমরান খান। সেখানেই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইমরানের কাছ থেকে এসব সিদ্ধান্ত আসে।
ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) আইন সংশোধন সংক্রান্ত শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা পরামর্শ দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সমস্যা সমাধানে সাহায্যের জন্য ইমরান খানকে সংসদে যাওয়া উচিত। কারণ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে সব দলের মধ্যে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছেন ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা। ৯৩ আসনে জয় পান তারা। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি ইমরানের প্রার্থীরা। পরে বিলওয়াল ভুট্টোর পিপিপির সাথে সমঝোতায় গিয়ে জোট করে সরকার গঠন করে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন।
এমটিআই