ঢাকা: গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। দফায় দফায় হামলা চালিয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। ইতোমধ্যেই সেখানে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে শনিবার চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। ওই শরণার্থী শিবিরে রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও তিন বন্দী নিহত হয়েছে বলেও হামাস দাবি করেছে। এদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক। তবে হামাসের দাবি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৬৪ জনই শিশু। এছাড়া ৭০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলছে, মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতালে যেন এক দুঃস্বপ্নের রাত কাটিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। আল আকসা এবং নাসের হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছেই। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানে শিশুসহ বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হিমিশিম খাচ্ছেন আল-আকসা এবং নাসের হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সংগীত উৎসবে হামলা চালিয়ে ২২১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের মধ্যে ৪০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইডিএফ। হামাসের হাতে এখনো জিম্মি রয়েছে ১১৬ জন।
হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৪ হাজার ৪৯৪ জন।
এসআই