ঢাকা : শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় ইরানে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চললেও দুই ঘণ্টা করে করে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয় পরবর্তীতে।
গত কয়েকবারের নির্বাচনের মতোই এবারের নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।
শনিবার (২৯ জুন) জানা যাবে কে হচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
মধ্যরাতে ভোট গ্রহণ শেষ হলে সরকার ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন কট্টরপন্থী প্রার্থী সাঈদ জালিলি। ৪০ লাখেরও বেশি ভোট গণনার পরে সাবেক এই পারমাণবিক আলোচক প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এবারের নির্বাচনে দুজন কট্টরপন্থী রক্ষণশীল প্রার্থী হলেন ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি ও পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ। তাঁদের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছেন অপেক্ষাকৃত সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলের শুরুতে অপেক্ষাকৃত সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আসেন সাঈদ জালিলি।
নির্বাচন ত্রিমুখী বলা হলেও নির্বাচনে আরও একজন প্রার্থী রয়েছেন। তিনি হচ্ছেন ধর্মীয় নেতা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। নির্বাচনে ছয়জনকে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ইরান কর্তৃপক্ষ। পরে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের প্রেসিডেন্টের ভূমিকা বড় করে দেখা হলেও দেশের প্রকৃত ক্ষমতা থাকে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে। পররাষ্ট্র বা পারমাণবিক নীতি ও সরকারের বিভিন্ন শাখার নিয়ন্ত্রণ, সামরিক, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন আর্থিক সম্পদের বিষয়ে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ কেউ এই নির্বাচনে জয় পাবেন। অর্থাৎ এ নির্বাচনের ফল খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করবে।
মূলত আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ইরানে। কিন্তু গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা হয়।
এমটিআই