ঢাকা: ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরস শহরে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল শতাধিক মানুষের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা শতাধিক মৃত্যুর খবর দিয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ২৭ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিলো।
জানা গেছে, রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার (২ জুলাই)। অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক জনের মৃত্যু হয়।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এক ধর্মীয় গুরুর জন্য ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার। অংশগ্রহণ করেছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই সৎসঙ্গে যোগ দিতে এসেছিলেন তারা। সেখানেই ঘটে যায় বিপর্যয়। হুড়মুড়িয়ে বেরোনোর সময় পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন অনেকে। বেশির ভাগই মহিলা। কয়েক জন শিশুও মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের ইটাওয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর রাজ্যের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ বলেছেন, ‘হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কেন এবং কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। প্যান্ডেল খোলামেলা থাকলেও আর্দ্রতা এবং গরমের কারণে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অনেকে মাটিতে পড়ে যান। বাকিরা তাঁদের উপর দিয়েই বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :