ঢাকা : মঙ্গলবারই মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবারের বিতর্কে পরাজয় ও দুর্বল অবস্থানের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবার দুর্বল বিতর্কের জন্য ভ্রমণ জনিত ক্লান্তিকেই দায়ী করেছেন জো বাইডেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ায় একটি ব্যক্তিগত তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বুধবার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় বিবিসি বাংলা।
বাইডেন জানান, নির্বাচনি বিতর্কের আগে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্রমণের কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। জুন মাসে আকাশপথে দুটি বিদেশ সফরের ক্লান্তি ভাব (জেট লেগ) এখনো যায়নি তাঁর। আর এ জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিয়ে তাঁর ‘ঘুম ঘুম’ ভাব ছিল। খুব বেশি স্মার্ট দেখা যায়নি তাকে। আর তাই বিতর্কে ভালো করতে পারেননি তিনি।
বিবিসি বাংলা জানায়, একাশি বছরের বাইডেন তার শেষ ভ্রমণ শেষ করেছিলেন গত পনেরই জুন, যা সাতাশে জুনের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য এমন সময় আসলো যখন তার দলের অভ্যন্তরেই আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং টেক্সাসের একজন ডেমোক্র্যাটিক দলীয় কংগ্রেসম্যান তাকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোরও আহবান জানিয়েছেন।
বিবিসি বাংলা জানায়, বাইডেন গত মাসে দুই সপ্তাহে ইউরোপে দুটি আলাদা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ইতালি থেকে রাতভর ভ্রমণ করে ফিরে এসে পনেরই জুন তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওই দিনই তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে আসেন।
যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের প্রস্তুতি নিতে ক্যাম্প ডেভিডে ছয় দিন কাটান বাইডেন। এটি ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে প্রেসিডেন্টের অবকাশ কেন্দ্র।
এর আগে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বিতর্কের দিন বাইডেন ঠান্ডায় আক্রান্ত ছিলেন। তবে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নিজে তার কোনো অসুস্থতার কথা বলেননি। এছাড়া হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন বিতর্কের সময় তিনি ঠান্ডার কোনো ওষুধ সেবন করেননি।
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তার বয়স অনেক দিন ধরেই আলোচনার একটি বিষয়। বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে ভোটাররা বলেছেন যে তারা মনে করেন কাজের জন্য বাইডেনের বয়সটা অনেক বেশি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে নির্বাচনি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের শুরু থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। কথাই বলতে পারছিলেন না তিনি। অন্যদিকে অনর্গল মিথ্যার ঝুড়ি সাজাচ্ছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের বাক্যবাণে প্রথম দিকে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন বাইডেন।
এমটিআই