ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাল্টানোর বিমান বাহিনীর এক কর্মসূচির খরচ ৯৫৮০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে প্রায় ১৬০০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত তিন ব্যক্তি জানিয়েছেন।
এতে দেশটির অন্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক আধুনিকায়নের কর্মসূচিগুলোতে তহবিল কাটছাঁটের হুমকি সৃষ্টি হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এখন এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে সেন্টিনেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) কর্মসূচি। এর নকশা করেছে নর্থরপ গ্রামেন কর্পোরেশন আর এর পরিচালনায়ও তারাই আছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য পুরনো হয়ে যাওয়া মিনিটম্যান থ্রি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাল্টানো।
বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত এক মার্কিন কর্মকর্তা, শিল্পক্ষেত্রের একজন নির্বাহী এবং ক্যাপিটল হিলের একজন সহকারীর ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের খরচের হিসাব থেকে এর মূল্য প্রায় ৬৫০ কোটি ডলার বেড়েছে।
দ্বিতীয় আরেকজন শিল্পক্ষেত্রের নির্বাহী জানিয়েছেন, এটি পেন্টাগনকে কর্মসূচির পরিসর বা সময়সীমা কমিয়ে আনতে বাধ্য করতে পারে। পেন্টাগনের হিসাবে নির্মাণ ও সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তনসহ নতুন মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪১০০ কোটি ডলার, শুক্রবার একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্লমবার্গ।
রয়টার্স জানিয়েছে, নর্থরপ গ্রামেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পেন্টাগনও ওই অংক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কিন্তু বলেছে, তারা খরচের নতুন হিসাব মঙ্গলবার নাগাদ দিতে পারবে বলে আশা করছে।
মার্কিন বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রতিরক্ষা বজায় রাখতে সেন্টিনেল কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও পেন্টাগন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে খরচের হিসাব দিতে বলেছে; রয়টার্স জানিয়েছে তাদের দেখা বিভিন্ন নথি থেকে এমনটি জানা গেছে।
বাড়তে থাকা খরচের এই হিসাব মার্কিন বিমান বাহিনীর পরবর্তী প্রজন্মের এয়ার ডমিনেন্স ফাইটার জেট কর্মসূচির মতো অন্য অগ্রাধিকারগুলোকে চাপে ফেলছে। এর পাশাপাশি হাইপারসনিক অস্ত্রের উন্নয়ন, বি-২১ বোমারু বিমান ও বিভিন্ন মহাকাশ কর্মসূচির মতো অন্য উদ্যোগগুলোও সম্ভাব্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
এমটিআই