• ঢাকা
  • রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১

বেরিলের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড টেক্সাসে নিহত ৩, বিদ্যুৎহীন ২৭ লাখ মানুষ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ৯, ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
বেরিলের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড টেক্সাসে নিহত ৩, বিদ্যুৎহীন ২৭ লাখ মানুষ

ঢাকা: ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে তাণ্ডব চালিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে অতি বিপজ্জনক শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হারিকেন বেরিল। এতে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর দ্যা টেক্সাস ট্রিবিউনের।

স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। সামুদ্রিক ঝড়টির তাণ্ডবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন ২৭ লক্ষাধিক মানুষ। হিউস্টন বিমানবন্দর থেকে বাতিল করা হয়েছে ১৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, বেরিলের তাণ্ডব চালানোর পর ২ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে পারলেও বাকিরা এখনো অন্ধকারেই আছেন।

সোমবার রাতে আঘাত হানা ওই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে আঘাত হানা এই ঝড়ে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে তিনজন।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে থেকেই বেরিলের প্রভাবে প্রথম টেক্সাসে বৃষ্টি শুরু হয়, পরে তা একটি ক্যাটাগরি ওয়ান হারিকেন হিসাবে সেখানে আছড়ে পড়ে। কিন্তু তারপর থেকে ধীরে ধীরে শক্তি কমে এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে। অঙ্গরাজ্যটির গভর্নরের কার্যালয় বাসিন্দাদের সাবধানে চলাফেরার করার জন্য বারবারই অনুরোধ করেছে। কয়েক দিন আগে এই হ্যারিকেন ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে আঘাত হানে এবং এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছিল। টেক্সাসে সোমবার ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বাতাসের ধাক্কায় বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়ায় এবং হ্যারিস কাউন্টিতে তার বাড়িতে গাছে ভেঙে পড়ে মারা গেছেন। মূলত গাছ ভেঙে বাড়ির ওপরে পড়ার ফলে তার ছাদ ধসে পড়ে। একই কাউন্টিতে হিউস্টনের কিছু অংশও রয়েছে এবং সেখানে ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বাড়ির ছাদে গাছ ভেঙে পড়ার পরে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই বৃদ্ধার নাতনি পুলিশকে পরে খবর দেন। সোমবারের এই ঝড়ের পর হিউস্টনের শহরতলিতে পুলিশ ইতোমধ্যেই উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে।

মার্কিন পূর্বাভাস প্রদানকারী সংস্থা অ্যাকুওয়েদারের মতে, চলতি জুলাই মাসে টেক্সাসের জন্য এই ধরনের হারিকেনের আঘাত বেশ কিছুটা বিরল। মূলত হিউস্টন একটি নিচু উপকূলীয় শহর এবং এটি বরাবরই বন্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্যোগের সময় হিউস্টন এলাকায় বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ মাইল বা ১২০ কিলোমটারে পৌঁছেছিল এবং ঝড়ো বাতাসের গতিসীমা ঘণ্টায় ৮৭ মাইল বা ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া ঝড়ের সময় মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যাও দেখা দিয়েছে। মূলত যে সমস্ত এলাকায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অবশ্য ঝড়টি এখন শক্তি হারিয়ে ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়টি হিউস্টন অতিক্রম করার সময় লুইসিয়ানার কয়েকটি কাউন্টিসহ ঝড়ের গতিপথে থাকা টেক্সাসের আরও কয়েক ডজন কাউন্টিতে টর্নেডো সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!