ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করতে ছক কষেছিল ইরান। সে চক্রান্তের খবর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ জানতে পারার পরই কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্পকে ঘিরে বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একথা বলেছেন।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, পেনসিলভেইনিয়ার নির্বাচনি প্রচার সমাবেশে গত শনিবার ট্রাম্পের উপর হামলা চালানো যুবক টমাস ম্যাথু ক্রুকসের সঙ্গে ইরানের এই চক্রান্তের যোগসূত্র থাকার কোনও আলামত তারা পাননি।
পেনসিলভেইনিয়া রাজ্যের বাটলার এলাকায় ওই নির্বাচনী সমাবেশে গুলিতে আহত হন ট্রাম্প। তার ডান কান ছুয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। নিহত হন সমাবেশে থাকা দুইজন।
ইরানের হুমকির বিষয়টি সামনে আসার পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকেই খবর থাকা, এমনকি কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রাম্পের নিরাপত্তা জোরদার করার পরও এমন হামলা কীভাবে হল? হামলাকারী ক্রুকস কীভাবে ট্রাম্পের মঞ্চের এত কাছ থেকে রাইফেল হাতে গুলি চালাতে পারলেন?
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, কেবল সিক্রেট সার্ভিসই নয়, ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবিরকেও ইরানি হুমকির কথা জানানো হয়েছিল। আর এই হুমকির কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছিল।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, ইরানের চক্রান্তের খবর পেয়ে গত জুন মাসেই ট্রাম্পের নিরাপত্তা জোরদার করছিল সিক্রেট সার্ভিস। নিরাপত্তার জন্য বাড়তি স্নাইপারসহ, পাল্টা আক্রমণের জন্য কর্মী নেওয়া হয়েছিল। ড্রোন ও রোবোটিক কুকুরও বাড়ানো হয়েছিল।
ট্রাম্পের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভাল নয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিলেন ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি।
সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ইরান অভিযোগ করে আসছে যে, ট্রাম্পের নির্দেশেই ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। ইরান তখন থেকেই ট্রাম্পকে হত্যা করার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।
সম্প্রতি ট্রাম্পের জীবনের ঝুঁকির বিষয়ে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি বলেন, তাদের সংস্খাসহ অন্য সংস্থাগুলো এমন হুমকির নতুন নতুন তথ্য পেয়ে আসছেন। আর সেই অনুযায়ী প্রয়োজনমতো নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থাও নিচ্ছেন।
ইরান অবশ্য ট্রাম্পকে হত্যার চক্রান্ত করার কোনওরকম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এমন খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
তবে জাতিসংঘে ইরানি মিশনের এক মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাম্প একজন অপরাধী। তার বিচার হতে হবে এবং আদালতের আইনে সাজাও হতে হবে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :