• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশে আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য

দিল্লিকে মমতার জবাব ‘বিদেশনীতি ভালো জানি, শেখানোর দরকার নেই’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২৭, ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
দিল্লিকে মমতার জবাব ‘বিদেশনীতি ভালো জানি, শেখানোর দরকার নেই’

ঢাকা: কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা আন্দোলনে সম্প্রতি উত্তপ্ত ছিল পুরো বাংলাদেশ। তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা এক মন্তব্য ঘিরে চলছে বিতর্ক। এবারে তাতে আবার প্রাণ দিলেন মমতা নিজেই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতার করা মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মমতাও ছোড়েন পাল্টা কড়া জবাব।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিল্লি যান মমতা। সেখানেই তিনি এই ইস্যুতে জবাব দিয়েছেন।

পরে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাতবারের সংসদ সদস্য ও দুইবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। বিদেশনীতি অন্য কারও চেয়ে ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত না। বরং পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে তাদেরই শেখা উচিত। আমি যেটা বলেছিলাম সেটা মানবিকতার দিকটি বিবেচনা করে।

এর আগে গত ২১ জুলাই এক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলতে পারি না। তবে সেই দেশ থেকে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে কেউ আশ্রয় (শরণার্থী হয়ে) নিতে এলে আমি তাদের ফেরাবো না।

তিনি জানান, এর চেয়ে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে বলেও উল্লেখ করেছিলে তিনি।

বাংলাদেশ নিয়ে মমতার ওই মন্তব্যের পরেই বিভ্রান্তি ছড়ায়। ওদিনই মমতার ওই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এমনকি ওই মন্তব্যের রিপোর্ট তলব করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাসুদ এই বিষয়টি উত্থাপন করে বলেছিলেন, আমরা ভারত সরকারকে একটা নোট দিয়েছি।

পরে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার অন্তর্গত ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা আছে যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়- যেখানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত- সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকার আছে। এই বিষয়ে রাজ্যের কোনো এক্তিয়ার নেই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মন্তব্যের পরে দিল্লি থেকে সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!