• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএসএফের প্রধান ও উপ-প্রধানকে অপসারণ করলো ভারত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ৩, ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
বিএসএফের প্রধান ও উপ-প্রধানকে অপসারণ করলো ভারত

ফাইল ছবি

ঢাকা: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ও তার ডেপুটি তথা স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেলকে (পশ্চিম) পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার। পদক্ষেপটিকে নজিরবিহীন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, গত ১০ বছরেও বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি ভারতীয় সরকারকে। অনেকে মনে করছেন, জম্মু ও কাশ্মিরের সহিংসতার কারণে এই পদক্ষেপ হতে পারে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) পৃথকভাবে দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশিকা দেয় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতেও বলা হয়েছে।

কাশ্মিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংঘাত, অস্ত্রধারীদের অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে বিএসএফের শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ আগে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না কেউ। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলার সময়েও এমন কিছু করেনি ভারত সরকার।\

বিএসএফের ডিজির পদে ছিলেন নীতিন আগরওয়াল। তিনি গত বছরের জুন মাসে ওই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সময়ের আগেই তাকে অপসারিত করে রাজ্যস্তরের ক্যাডারে ফেরত পাঠানো হলো। অন্যদিকে, স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) পদে এত দিন ছিলেন ওয়াইবি খুরানিয়া। তাকেও রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

১৯৮৯ সালের কেরল ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন নীতিন। খুরানিয়া ছিলেন ১৯৯০ সালের উড়িষ্যা ক্যাডারে। দুজনকেই সময় শেষ হওয়ার আগে পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

বিএসএফের দুই শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে কেন আচমকা এই পদক্ষেপ? অনেকে বলছেন, নেপথ্যে রয়েছে কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধের ব্যর্থতা। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশে তৃতীয়বার বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কাশ্মিরে শান্তিরক্ষায় তারা বদ্ধপরিকর। শক্ত হাতে সেখানে সন্ত্রাস দমন করা হবে।

কিন্তু নতুন সরকার গঠনের পর থেকে বারবার অশান্ত হয়েছে কাশ্মির। জম্মুতে বাসে অস্ত্রধারীদের হানায় প্রাণ গেছে অনেকের। বারবার কাশ্মীরে সেনাসদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়েছে। গত দুই মাসে যেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বেড়ে গেছে জম্মু ও কাশ্মীরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফের এক কর্মকর্তা বলেন, ফোর্সের মধ্যে তাদের দখল মজবুত ছিল না। বিএসএফের অন্যান্য শাখা সংস্থার সঙ্গেও বোঝাপড়ার অভাব ছিল। সে কারণেই এই অপসারণ বলে মনে হচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষাকে কেন্দ্রীয় সরকার যে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, এই পদক্ষেপ থেকে সেই বার্তাও দেওয়া হলো।

সূত্র: এনডিটিভি

এসআই

Wordbridge School
Link copied!