ঢাকা : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শেখ হাসিনার নামে একাধিক হত্যা ও দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে। তার বিচারের দাবি উঠেছে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে।
এরপর থেকেই আলোচনা শুরু হয়, ভারতের যেহেতু বাংলাদেশের বন্দি চুক্তি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে-বাংলাদেশ সরকার প্রত্যর্পণের আবেদন জানালে ভারত কি শেখ হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দিতে বাধ্য? এ নিয়ে সারাদেশে এখনও তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এ বিষয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আনন্দবাজার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে শেখ হাসিনার অবস্থান যে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা তা বুঝতে পারছে ভারত। এজন্য তৃতীয় কোনও দেশে শেখ হাসিনাকে নিরাপদে রাখার একটা চেষ্টাও চলছে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তির তেমন কোনো গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে না ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই চুক্তি করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে জঙ্গি, পাচারকারী ও চোরাচালানিদের প্রত্যর্পণের উদ্দেশ্যে। ২০১৬ সালে এই চুক্তিতে বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছিল। কোনও দেশ যদি মনে করে, রাজনৈতিক কারণে কাউকে প্রত্যর্পণের দাবি জানানো হচ্ছে, তবে তারা দাবি মানতে বাধ্য নয়।
আনন্দবাজার বলছে, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি ভারত যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে মনে করে, সেখানে বলার কিছু থাকতে পারে না। আবার চুক্তির আরেকটি ধারায় রয়েছে, প্রত্যর্পণের পরে দীর্ঘ কারাবাস ও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলে অন্য পক্ষের দাবি খারিজ করা যাবে বলে প্রতিবেদনে জানা যায়।
এ ছাড়া শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
এমটিআই