• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মার্কিন তরুণী নিহত, বিরক্ত যুক্তরাষ্ট্র


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মার্কিন তরুণী নিহত, বিরক্ত যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা : ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুসে এক বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন তুর্কি-আমেরিকান নারী বিক্ষোভকারী।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পশ্চিম তীরে এক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী আয়েশেনুর এজগি আইগি।

দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএনকে দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ফিলিস্তিনি গ্রাম বেইতার কাছে ইসরায়েলি বসতির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল বিক্ষোভকারীরা। সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী আইগিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে।

ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বলেন, ২৬ বছর বয়সী আয়েশেনুর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বাসিন্দা। সম্প্রতি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনি পক্ষের একজন কর্মীও। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আইগি নিহত হওয়ার ঘটনায় তারা ভীষণভাবে বিরক্ত হোয়াইট হাউস। এ ঘটনার তদন্ত করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া এ ঘটনা প্রসঙ্গে ইসরায়েলকে দায়ী করে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আয়েশেনুরকে মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার দায়ী।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে যে, তাঁরা পশ্চিম তীরে হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রধান উস্কানিদাতাকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে। বিক্ষোভকারীরা তার ইন্ধনে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করছিল যা সেনাদের জন্য হুমকি তৈরি করছিল।

তবে এ অঞ্চলে গুলি চালানোর ফলে একজন বিদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে এমন তথ্য খতিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছে আইডিএফ।

সিএনএন আরও জানায়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আয়েশেনুরকে নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানায় রামাল্লার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হাসপাতালটির প্রধান ফুয়াদ নাফা বলেন, মাথায় গুরুতর জখম অবস্থায় আনা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁকে বাঁচানোর আশায় আমরা অস্ত্রোপচার করেছিলাম। তবে দুঃখজনকভাবে মারা যান তিনি।’

এদিকে আইগিকে হত্যার সময় সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইচ্ছাকৃত হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তার মৃত্যু কোন দুর্ঘটনাবসত নয়। এছাড়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভেও ইসরায়েলের হামলার অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!