ঢাকা : ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আগামী এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি দখরদারিত্ব অবসানের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। বাধ্যবাধকতাহীন এই উদ্যোগটির পক্ষে ১২৪টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে পড়ে ১২টি ভোট।
এ ছাড়া ৪৩টি দেশ ভোট প্রদানে অনুপস্থিত ছিল। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর সেটিকে একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিন। খবর আলজাজিরার।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসারায়েলি অবৈধ উপস্থিতি অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরায়েলের অন্যায় তৎপরতা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এতে ইহুদি রাষ্ট্রটিকে ১২ মাসের মধ্যে তাদের তৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবে দখলদারিত্ব চলাকালে ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালানো হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথাও বলা হয়েছে।
মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মানকে তুলে ধরার ব্রত নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রতিটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে। তাই গতকাল বুধবারের (১৮ সেপ্টেম্বর) এই ভোটাভুটি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরোধিতায় আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থনের গভীরতাকেই তুলে ধরে।
এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের পরামর্শমূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে, যেখানে দেখানো হয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উপস্থিতি আইনসম্মত নয় এবং অবশ্যই এর অবসান হতে হবে।
গত জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রুলিংয়ে বলে যে, পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন অবৈধ এবং দেশটি তার শক্তির অপব্যবহার করছে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রুলিংয়ে আরও বলা হয়, গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা যাতে পৌঁছায় তার ব্যবস্থাও নিতে হবে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী তৎপরতার মধ্যেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হলো। এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
এমটিআই