ঢাকা: রামায়ণের কাহিনি অনুযায়ী, রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে দেশ শাসন করেছিলেন তার ভাই ভরত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু করার দিনে সেই কাহিনি স্মরণ করলেন আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা।
জানালেন, ভরতের মতো তিনিও অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নামে আগামী চার মাস রাজধানীর দায়িত্ব সামলাবেন।
কেজরীর চেয়ারটি তিনি ফাঁকা রেখে দিয়েছেন। তার পাশে অন্য একটি চেয়ারে বসেছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেছেন অতিশী।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার সংবাদমাধ্যমকে অতিশী জানিয়েছেন, তিনি তার অবস্থার সঙ্গে রামায়ণের ভরতের অবস্থার মিল খুঁজে পেয়েছেন। রামের অনুপস্থিতিতে যেমন ভরত তার হয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করেছিলেন, তেমন আপের সর্বময় নেতা কেজরীওয়ালের অনুপস্থিতিতে তার হয়ে দিল্লির কাজ চালাবেন অতিশী। তার কথায়, ‘‘ভরত যে ভার বহন করেছিলেন, আমিও তা-ই করছি। তিনি রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখেছিলেন। আগামী চার মাস দিল্লির কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আমার নীতিও তা-ই হবে।’’
আগামী বছরের শুরুতেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। অতিশী জানিয়েছেন, চার মাস পরে রাজধানীর মানুষ ভোট দিয়ে কেজরীকে তার চেয়ারে ফিরিয়ে আনবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাসেই চার মাস তিনি কাজ করে যাবেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে কেজরীর চেয়ার ফাঁকা রাখার প্রসঙ্গে অতিশী বলেন, ‘‘এই চেয়ার কেজরীওয়ালের চেয়ার। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ভোটে দিল্লির মানুষ তাকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করবেন, আমি জানি। তত দিন এই চেয়ার এই দফতরে তার অপেক্ষায় থাকবে।’’
দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে কেজরীর। তাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে ওই মামলাতেই সিবিআইও কেজরীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির আগে তিনি পদত্যাগ করেননি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই জেলে ছিলেন।
সম্প্রতি ইডি এবং সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেয়ে তিহাড় থেকে বেরিয়েছেন কেজরী। কিন্তু জেলমুক্তির পরেই তিনি জানান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ তিনি ছাড়তে চান। মানুষ আবার তাকে নির্বাচিত করলে তিনি ওই পদে ফিরবেন। এর পরে আপের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী হবেন অতিশী। শনিবার তিনি শপথ নিয়েছেন। শীলা দীক্ষিত এবং সুষমা স্বরাজের পর দিল্লির তৃতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি। তার সঙ্গে মন্ত্রিসভার আরও পাঁচ সদস্যও শপথ নিয়েছেন। সোমবার থেকে দফতরে কাজ শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী।
আইএ