ঢাকা : ইরান সমর্থিত লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের পর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ইরানের প্রভাবশালী রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)।
বাহিনীটির সদস্যদের ওপর যেকোনো ধরনের যোগাযোগের যন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ইরানের জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ওই কর্মকর্তা জানান, আইআরজিসির সদস্যদের মধ্যে ব্যবহার করা যন্ত্রগুলো নিয়ে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যোগাযোগের যন্ত্রের পাশাপাশি সব ধরনের যন্ত্র পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখছে তারা। এই যন্ত্রগুলোর বেশির ভাগই নিজস্বভাবে ইরানে তৈরি, না হয় চীন ও রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি গুপ্তচরদের ইরানে অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন তেহরান। আইআরজিসির শীর্ষ ও মধ্যপর্যায়ের সদস্যদের লক্ষ্য করে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইরান ও ইরানের বাইরে তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যসহ তাদের সবার ভ্রমণের রেকর্ড যাচাই করা হচ্ছে।’
প্রায় দুই লাখ সদস্য নিয়ে গঠিত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি) নিজের দের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ করছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আপাতত, আমরা বার্তা আদান-প্রদানের সিস্টেমে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করছি।
তিনি আরও জানান, ইরানের শাসক সংস্থার মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। আইআরজিসি কর্মকর্তারা প্রযুক্তিগত মূল্যায়নের জন্য হিজবুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং বিস্ফোরিত ডিভাইসের বেশ কয়েকটি নমুনা ইরানী বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষার জন্য তেহরানে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইরানের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
লেবাননে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পেজার বিস্ফোরণের পরদিনই বিস্ফোরণ হয় গোষ্ঠীটির শত শত ওয়াকিটকি। দুই দিনের হামলায় নিহত হয় ৩৯ জন। আহত হয় ৩ হাজার জনের বেশি।
হিজবুল্লাহ ও লেবানন সরকার—দুই পক্ষের দাবি এই হামলার পেছনে রয়েছে ইসরায়েল। যদিও এ নিয়ে ইসরায়েল মুখ খোলেনি।
এমটিআই