ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি ভাষণের জন্য মঞ্চে উঠার পর পরই সেখানে উপস্থিত অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন।
পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি মঞ্চে উঠার সাথে সাথেই প্রথমে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন তুরস্কের স্থায়ী দূত, অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান তিনি।
এরপর একে একে তার পেছনে অন্যরাও বের হয়ে যেতে থাকেন। আল জাজিরা জানায়, এমনকি আরব বিশ্বের প্রতিনিধিরাও নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
মূলত গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ এবং লেবাননে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন এসব রাষ্ট্র প্রধানরা।
সাধারণ পরিষদের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার পর অধিবেশন কক্ষের বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে আছে।
ভাষণে নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন। পুরো ভাষণেই তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। নেতানিয়াহু বলেন, যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন না করবেন ততদিন যুদ্ধ অব্যাহত রাখবেন।
হামাসকে ধংসের প্রতিশ্রুতি জানিয়ে তিনি বলেন, হামাস যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে তারা আবার সংগঠিত হবে এবং বারবার ইসরায়েলকে আক্রমণ করবে। তাই হামাসকে যেতে হবে।
যুদ্ধ শেষ নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, হামাস আত্মসমর্পণ করলে, অস্ত্র তুলে দিলে এবং সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দিলে এই যুদ্ধ এখন শেষ হতে পারে। কিন্তু যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই করব। এর কোনো বিকল্প নেই।
এর আগে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, নেতানিয়াহু ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তার জাতিসংঘে ভাষণ নয় কারাগারে থাকা উচিত।
এমটিআই