ঢাকা: নেপালে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩২ জন মানুষ। এদিকে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় রাজধানী কাঠমান্ডুর আশপাশের এলাকাগুলোয় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, বন্যার কারণে কাঠমান্ডুতে যান চলাচল ও স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে শুধুমাত্র রাজধানীতেই মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জন মানুষের।
দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে নেপালে এবছর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কাঠমান্ডু ও আশপাশের এলাকায় শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে কাঠমান্ডুর অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ভূমিধসের কারণে অনেক মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে পুরো দেশ থেকে কাঠমান্ডু সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল ভবনগুলো মেরামত করা প্রয়োজন। ফলে স্কুল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নেপালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী ভট্টরাই রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্কুল তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছি।”
এসএস