ঢাকা: ইসরায়েলে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এত বড় হামলা হলেও ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত নিয়ে এখনো মুখ খুলেনি ইসরায়েলি সরকার। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে ক্ষয়ক্ষতির বিভিন্ন চিত্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তেল আবিবের সদরদপ্তরের কাছে আঘাত হানে। এতে সেখানে বিশাল একটি গর্ত তৈরি হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে মোসাদ সদরদপ্তরের কাছে একটি বিশাল গর্ত দেখা গেছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই এই গর্ত তৈরি হয়েছে। সিএনএন এই ভিডিওটির অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এটি হারজলিয়ার একটি উঁচু অ্যাপার্টমেন্ট ভবন থেকে ধারণ করা হয়েছে, যা মোসাদের সদরদপ্তর থেকে ৩ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত।
এর আগে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানায় সিএনএন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার দুটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে বলে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
ভিডিও দুটি দক্ষিণ ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমির নেভাটিম বিমানঘাঁটির দক্ষিণে অবস্থিত আর’আরত আন-নাকাব শহর থেকে ধারণ করা হয়েছে। এই শহর ও বিমানঘাঁটির আর্কাইভ করা ছবির সঙ্গে ভিডিওতে দেখা ভবনগুলো মিলিয়ে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভিডিওতে বেশ কয়েকটি রকেটের ধোঁয়ার রেখা বিমানঘাঁটির দিকে পড়তে দেখা যায়। পেছনে সাইরেন বাজার শব্দ শোনা যায়। এরপর উভয় ভিডিওতেই ঘাঁটির কাছে একটি ব্যাটারি থেকে একটি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যেতে দেখা যায়, যা ফ্রেমের বাইরে চলে যায়।
এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানতে শুরু করলে এবং বিস্ফোরিত হলে একটি ভিডিওতে বিমানঘাঁটির একটি কন্ট্রোল টাওয়ার দেখা যায়। পুরো ঘাঁটির ওপর দিয়ে ধোঁয়া উড়তে থাকে। বিস্ফোরণের বেশি বেশি শব্দ শোনা যায়।
তবে দিনের আলো না থাকায় হামলায় বিমানঘাঁটির ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হলো তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সিএনএন। এ বিষয়ে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি।
এসএস