ঢাকা: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন সাবেক হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর জামাতা। বুধবার (২ অক্টোবর) দামেস্কে চালানো ইসরাইলি হামলায় হাসান জাফর আল-কাসির নামের ওই ব্যক্তি নিহত হন।
শুরুতে এই হামলায় ‘বেসামরিক মানুষ’ নিহতের খবর প্রচার হয়। পরে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সেখানে হিজবুল্লাহর জামাতা কাসিরও ছিলেন।
সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানার) এক প্রতিবেদনে নিহতদের মধ্যে একজনকে হাসান জাফর আল-কাসির হিসাবে সনাক্ত করা হয়। বিভিন্ন আরব সংবাদমাধ্যমের মতে, কাসির হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর জামাতা ছিলেন, যাকে ইসরাইল গত সপ্তাহে হত্যা করেছিল।
কাসিরকে নিয়ে সানার প্রতিবেদনে আরো এক তথ্য জানা গেছে, কাসির গত মঙ্গলবার সিরিয়ায় নিহত হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মুহাম্মাদ জাফরের ভাই। হিজবুল্লাহর ইউনিট ৪৪০০-এর নেতৃত্বে ছিলেন জাফর। ইউনিটটি ইরান এবং মিত্রদের থেকে লেবাননে অস্ত্র সরবরাহ করতো।
এর আগে গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতভর বৈরুতে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইল। এ সময় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। পরে নাসরুল্লাহ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলার পাশাপাশি, সোমবার থেকে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে কয়েক হাজার সেনা এই অভিযানে নামে। উত্তর ইসরাইলের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের দ্রুত নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে আনতে চায় ইসরাইল।
বুধবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন শেষ করতে চায় তারা। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা লেবাননের প্রতিটি বাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
আইএ