ঢাকা: লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাতভর শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে বৈরুত।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বোমা হামলায় আরও ৩৪ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ। খবর আল জাজিরার।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০টির মতো হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এগারোটিই হয়েছে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে। লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা বাঙ্কার-বাস্টিং বোমা দিয়ে হামলা চালাচ্ছে। এগুলো খুব গভীর পর্যন্ত পৌছাতে পারে এমনকি সুড়ঙ্গেও আঘাত হানতে সক্ষম। এ ধরনের বোমা একটি ভবনকে পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারে।
বেশির ভাগ হামলার ঘটনা ঘটেছে দাহিয়েহ এলাকায়। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নেতা হাশেম সাফিউদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরবর্তী হিজবুল্লাহ প্রধান হতে যাচ্ছেন হাশেম সাফিউদ্দীন। তিনি বর্তমানে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হিসেবে কাজ করছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ইসরায়েলের তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে পরিচিত সাফিউদ্দীন দক্ষিণ বৈরুতের একটি উপশহরে একটি বাঙ্কারে ছিলেন। তিনি হামলায় নিহত হয়েছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বর্তমানে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাফিউদ্দীন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০১৭ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভূক্ত করে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান সংকটকে ‘সামষ্টিক গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের লাগামহীন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তার দেশ বহুবার সতর্ক করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দোহায় এশিয়া কো-অপারেশন ডায়ালগ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় কাতারের আমির বলেন, এটি স্পষ্ট যে, (মধ্যপ্রাচ্যে) যা ঘটছে তা একটি গণহত্যা। পাশাপাশি, গাজা উপত্যকাকে মানব বসবাসের অযোগ্য অঞ্চলে পরিণত করা হচ্ছে, যাতে সেখানকার মানুষদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা যায়।
এআর