• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কঙ্গোতে নৌদুর্ঘটনায় ৮৭ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৭৮


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ৪, ২০২৪, ১১:৩৬ এএম
কঙ্গোতে নৌদুর্ঘটনায় ৮৭ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৭৮

ঢাকা: ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিভু হ্রদে নৌকা ডুবে অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দক্ষিণ কিভু প্রদেশের মিনোভা শহর থেকে আসা নৌকাটি উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমার উপকণ্ঠে কিতুকু বন্দরের কাছে ডুবে যায়।

প্রাদেশিক সরকার জানায়, এখনো ৭৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।  উদ্ধার হওয়া ৮৭টি মৃতদেহ গোমার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও নয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি আছে। খবর আল জাজিরা।

এদিকে দক্ষিণ কিভু রাজ্যের গভর্নর জেন জ্যাকিউস ‍পুরিসির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার নৌকাটি ডুবে যাওয়ার আগে এতে ২৭৮ জন যাত্রী ছিল।

এতে আরও বলা হয়, প্রকৃত অর্থে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে অন্তত তিনদিন সময় লাগবে। কারণ সবার মরদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। পার্শ্ববর্তী উত্তর কিভু রাজ্যের গভর্নর জানিয়েছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

যাত্রী বোঝাই নৌকাটি দক্ষিণ কিভু রাজ্যের মিনোভা শহর থেকে আসছিল এবং এটি বৃহস্পতিবার সকালে গোমা থেকে ১০০ মিটার দূরে ডুবে যায়।  

কিতুকু বন্দরের কর্মীরা জানান, অনেক বেশি ঢেউ থাকায় বন্দর থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে ডুবে যায় ফেরিটি। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত স্বজনদের পাওয়ার আশায় কিতুকু বন্দরে অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

গোমা থেকে সাংবাদিক আলাইন উয়াকানি আল জাজিরাকে বলেন, সহিংসতার কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় স্থানীয়দের মাঝে হতাশা বাড়ছে।

 

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন উত্তর কিছু রাজ্য থেকে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ কিভু রাজ্যে যেতে এখন একমাত্র ভরসা এই নৌকা। কারণ সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের কারণে অনেক রাস্তা বন্ধ রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, কঙ্গো সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ এর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে মানুষজন স্থল ভ্রমণের পরিবর্তে নৌকায় করে কিভু লেক পাড়ি দিয়ে গোমাতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে নৌপথের ওপর বেশি চাপ পড়তে থাকে। তীব্র বাতাস ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে কিভু হ্রদে প্রায়ই নৌদুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সূত্র: আল-জাজিরা

এসএস

Wordbridge School
Link copied!