ঢাকা : হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়াদের নিয়ে কাজ করা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী জাপানি সংগঠন ‘নিহোন হিদাংকিয়ো’র নেতারা বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন।
বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
নাগাসাকিতে বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এবং নিহোন হিদাংকিয়ো’ সংগঠনের সহ-প্রধান নেতা শিগেমিৎসু তানাকা বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে এবং এখনও যুদ্ধ চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমার ভয় হচ্ছে যে, মানবজাতি হিসেবে আমরা নিজেদের ধ্বংসের পথে হাঁটছি। এটি থামানোর একমাত্র উপায় পারমাণবিক অস্ত্র বিলোপ করা।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে ১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট জাপানের হিরোশিমায় একটি পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র । মার্কিনিরা সেই বোমার নাম দিয়েছিল ‘লিটল বয়’। তিনদিন পর প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে নাগাসাকি শহরে আরেকটি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র, যার নাম তারা দিয়েছিল ফ্যাট ম্যান।
গত শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী সংগঠনের নাম ঘোষণার সময় নরওয়ের নোবেল কমিটি পারমাণবিক বোমার ধ্বংযজ্ঞের বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং নিহোন হিদাংকিয়ো বিশ্বকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য নিরলসভাবে যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এবারের শান্তির নোবেল তারই স্বীকৃতি বলে উল্লেখ করেছে।
এই সংগঠনটির চেষ্টা আজকের বিশ্বে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে নোবেল কমিটি উল্লেখ করেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মাসে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ইউক্রেইনকে দূর-পাল্লার পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার মাটিতে হামলা চালাতে দেয়, তাহলে মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে এর জবাব দেওয়ার কথা ভাববে।
এমটিআই