ঢাকা : আগামী ৩০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সাহায্যপণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি না করলে ইসরায়েলে শতকোটি ডলারের সামরিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।
গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজনকে দুর্দশায় না জড়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানালেও এই প্রথম মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তিনি অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।
গত রোববার এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন একটি বিষয় পরিষ্কার করেন যে, বর্তমানে গাজায় সাহায্য সরবরাহে যে ধীরগতি রয়েছে, তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বনিম্ন। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে ইসরায়েলকে অবশ্যই এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি বিধান রয়েছে যে, মার্কিন সামরিক সহায়তা গ্রহণকারী পক্ষ কোনোভাবেই দেশটির মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের ধারাগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবজ্ঞা বা অস্বীকার করতে পারবে না।
চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে নির্দেশনা অনুসারে ইসরায়েল তার পদক্ষেপে পরিবর্তন আনবে এবং প্রত্যাশিতভাবে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের গতি নাটকীয়তার সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে।
এই চিঠিটি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্তের উদ্দেশে পাঠানো হয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভাষ্য অনুসারে তা ‘প্রাইভেট’ হিসেবে বিবেচ্য থাকবে।
চিঠিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও লয়েড অস্টিন গাজায় সাহায্যপণ্য পৌঁছানোর জন্য পঞ্চম ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে প্রতিদিন অন্তত ৩৫০টি ট্রাক সেখানে যেতে পারে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তৎপরতা যেখানে নেই সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইসরায়েলকে গাজায় দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০টি সাহায্যপণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে এলেও বাস্তবে তা অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসে।
ওই চিঠিতে ইসরায়েলের প্রতি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর এর অর্থ হচ্ছে ইসরায়েলি পদক্ষেপের মূল্যায়ন হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর। কেননা আগামী ৫ নভেম্বর দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন।
এমটিআই