• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্টের সাড়ে ২০ বছরের জেল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্টের সাড়ে ২০ বছরের জেল

ঢাকা: ঘুষ নেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো টোলেডোকে ২০ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) পেরুর একটি আদালত তাকে এই কারাদণ্ড দেয়। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রসিকিউটররা বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো টোলেডো ব্রাজিলিয়ান নির্মাতা কোম্পানি ওডেব্রেখ্টের কাছ থেকে ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে কোম্পানিটিকে পেরুর দক্ষিণ উপকূলকে পশ্চিম ব্রাজিলের একটি অ্যামাজনীয় অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণের কাজ দেওয়া হয়।

৭৮ বছর বয়সী টলেডো স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে পাঁচ বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মূলত সেখানে তিনি বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। পরে গত বছর পেরুতে তাকে প্রত্যর্পণ করা হয়। এরপর থেকে লিমা কারাগারে রয়েছেন তিনি। কারাগারে স্থাপিত একটি আদালত কক্ষে সোমবার (২১ অক্টোবর) তার সাজা ঘোষণা করা হয়।

বছরব্যাপী বিচার চলাকালীন টলেডো তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতি ও অর্থ-পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত সপ্তাহে পেরুর সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আদালতকে বলেন, তিনি ক্যান্সার রোগী হওয়ার কারণে তাকে তার বাড়িতে সাজা ভোগ করতে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমাকে বাড়িতে নিরাময় বা মারা যেতে দিন।’

বিচারক ইনেস রোজাস মামলার রায়ে টোলেডোকে ২০ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচারক বলেছেন, পেরুভিয়ানরা টলেডোকে তাদের প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিশ্বাস করেছিল। পাবলিক ফাইন্যান্স পরিচালনার দায়িত্বের পাশাপাশি সম্পদের সঠিক ব্যবহার সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তারই ছিল। আর এর পরিবর্তে তিনি রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন বিচারক।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পেরুর আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকেও লিমা কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি ২০২২ সালে কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করার পরে ‘বিদ্রোহ’ এর অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।

ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি ওডেব্রেখ্ট সরকারি কাজ পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য লাতিন আমেরিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

পেরুর আরও দুজন সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো কুকজিনস্কি ও ওলান্টা হুমালাকের বিরুদ্ধেও ওডেব্রেখট ঘুষ মামলায় তদন্ত চলছে।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!