ঢাকা : ভারতকে সাইবার নিরাপত্তায় ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন কানাডিয়ান সরকার। যা নির্দেশ করছে নয়াদিল্লিকে এখন শত্রু দেশ হিসেবে বিবেচনা শুরু করেছে কানাডা।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে কানাডা।
এনডিটিভি বলছে, কানাডা সম্প্রতি তাদের ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’ প্রকাশ করে। সেখানেই ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আক্রমণ ও ক্ষতি করার জন্য কানাডা নতুন আরেকটি কৌশল হাতে নিয়েছে।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, কানাডিয়ান সরকারের কিছু কর্মকর্তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন কানাডা বিশ্বমণ্ডলে ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেছেন ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ অর্থাৎ সাইবার শত্রু হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে কানাডা কোনো শক্তিশালী প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
এদিকে কানাডা অভিযোগ করেছে, সাইবার নিরাপত্তা ব্যবহার করে ভারত তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। সম্প্রতি দেশটি তাদের ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’ প্রকাশ করে। এতে ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ভারতকে নিজেদের ‘সাইবার শত্রুর’ যে তালিকায় কানাডা যুক্ত করেছে সেখানে আছে চীন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলো।
উল্লেখ্য, খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক একদম তলানিতে ঠেকেছে। সম্প্রতি কানাডা অভিযোগ করেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কানাডার মাটিতে শিখ অ্যাক্টিভিস্টদের টার্গেট করার ষড়যন্ত্র করেছেন। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার কানাডার হাইকমিশনের প্রতিনিধিকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। কানাডার উপ-পররষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন অমিত শাহ সম্পর্কে যে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন, ভারত সরকার তার কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরপরেই ভারতকে সাইবার প্রতিপক্ষ হিসেবে আখ্যা দেয় কানাডা।
এমটিআই