ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে স্থানীয় সময় ভোর ছয়টায় ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই কানেক্টিকাট, ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, মেইন, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও ভার্জিনিয়ায় ভোটগ্রহণ চলছে।
ফিলাডেলফিয়ায় কমলা হ্যারিসকে ভোট দিয়ে ফ্রান্সিস ও’নিল নামের এক বয়স্ক নাগরিক বিবিসিকে বললেন, ট্রাম্প ভয়ংকর। তাই তিনি হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, কমলা হ্যারিস যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা করবেন। তিনি একজন ভালো নারী এবং আমাদের দেশে তাকেই প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র একাধিক ‘টাইম জোনে’ বিভক্ত হওয়ায় সময়ের এমন পার্থক্যে ভোট কেন্দ্র খোলা হয়। একইভাবে, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ভোট শেষ হওয়ার সময়ও ভিন্ন হবে। তবে অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হবে ইস্টার্ন টাইম সন্ধ্যা ৬টা ও মিডনাইট ইস্টার্ন টাইমের (বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর চারটা থেকে রাত ১০টার) মধ্যে।
ভোটকেন্দ্র প্রথম বন্ধ হওয়ার (ইস্টার্ন টাইম সন্ধ্যা ৬টা) সঙ্গে সঙ্গেই ভোট গণনার কাজ শুরু হবে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ফলাফল আসতে শুরু করবে। তবে চূড়ান্ত ফল ঘোষণায় দেরি হতে পারে।
যুক্তরাস্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায় (৫৪টি)। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নর্থ ডাকোটায় (৩টি)।
সাধারণত রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেকটোরাল ভোট থাকে। যে রাজ্যে যত বেশি জনসংখ্যা ওই রাজ্যে তত বেশি ইলেকটোরাল ভোট।
রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যিনি পান ইলেকটোরাল ভোটগুলো তিনি পান। এভাবে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়।
আইএ