• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জয়ের জন্য ভারতে কমলার নানার গ্রামে প্রার্থনা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
জয়ের জন্য ভারতে কমলার নানার গ্রামে প্রার্থনা

ঢাকা: বিশ্ব শক্তির ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা কমলা হ্যারিস এবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রানিং মেট। কমলা যদি জয়ী হন, মার্কিন ইতিহাসের প্রথম নারী ও একইসঙ্গে অন্য দেশের বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি।

কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনী। তাই ভারতও তার জয় চায়। দেশটির বাঘা বাঘা রাজনৈতিকও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। জানা গেছে, দেশটির একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা তার জয়ের জন্য মন্দিরে পূজা দিচ্ছেন।

মার্কিন একটি সংবাদসংস্থা এ খবর জানিয়েছে। সেটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ভারতে কমলার নানার গ্রামের লোকেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জয়ের আশায় পূজা করছেন।

কমলার নানা পি.ভি. গোপালান। এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাড়ু রাজ্যের থুলসেন্দ্রপুরমের পাতার গ্রামে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন। গ্রামটি ওয়াশিংটন থেকে ৮ হাজার মাইল দূরে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থুলসেন্দ্রপুরমের পাতার গ্রামের মন্দিরে কমলার জয়ের জন্য পূজা হয়েছে। জি. মানিকন্দন নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, সকালে আমাদের মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা হয়েছে। কমলা জিতলে উদযাপন হবে।

ওই মন্দিরে একটি পাথরে কমলা হ্যারিসের নাম খোদাই করে লেখা হয়েছে। মন্দির নির্মাণে তার দাদা অনুদান দিয়েছিলেন। সেই তালিকাও রয়েছে সেখানে। মন্দিরের বাইরে বড় একটি ব্যানার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে কমলাকে ‘এ ভূমির কন্যা’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচনে তার সাফল্য কামনা করা হয়েছে।

কমলার নানা পি.ভি. গোপালান দীর্ঘ সময় থুলসেন্দ্রপুরমের পাতার গ্রামে ছিলেন। পরে তিনি তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে চলে আসেন। অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন

কমলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও তিনি কখনোই থুলসেন্দ্রপুরমে যাননি। এছাড়া এ গ্রামে তার কোনো আত্মীয় জীবিত নেই। তবে স্থানীয়রা এখনও এ পরিবারটিকে শ্রদ্ধা করে।

চার বছর আগেও গ্রামটি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের জন্য গ্রামবাসী প্রার্থনা করেছিল। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের নির্বাচিত হওয়ায় গ্রামবাসী খাবার বিতরণ করেছিল। আতশবাজি ফাটিয়েও আনন্দ করেছিল তারা।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!