ঢাকা : শ্রীলঙ্কায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে দেশটির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকের জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি)। এর মাধ্যমে জয় নিশ্চিত করেছে জোটটি। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। দেশটির নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে পার্লামেন্টে নিজ জোটের আসন সংখ্যা বাড়াতে আগাম নির্বাচন দিয়েছেন। কারণ ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) আসন ছিল মাত্র তিনটি। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের আসনসংখ্যা ২২৫টি। এর মধ্যে ১৯৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ২৯টিতে ‘জাতীয়ভিত্তিক আসন’। এগুলো রাজনৈতিক দলগুলো পায় ১৯৬ আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিস্যা অনুযায়ী।
আজ শুক্রবারের ব্যালট গণনায় দেখা যায়, ১৯৬ আসনের মধ্যে বামপন্থী এনপিপি জোট ১৩৭টিতে জয় পেয়েছে। অর্থাৎ, জোটটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তারা প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
অন্যদিকে, এনপিপি জোটের প্রধান প্রতিপক্ষ সমাগি জনা বালাবেগায়া (এসজেবি) ৩৫টি আসনে জয় পেয়েছে।
পার্লামেন্টে এনপিপির আসনসংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায় বহুগুণ। প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন দেশটির বিক্ষুব্ধ জনগণ। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালান।
এর প্রায় দুই বছর পর গত সেপ্টেম্বরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে জয়ী হন বামপন্থী রাজনীতিক অনুঢ়া। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। ১৪ নভেম্বর আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
শ্রীলঙ্কায় ২০২০ সালের আগস্টে পাঁচ বছর মেয়াদে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছিল। সে হিসেবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক বছর আগে গতকাল দেশটিতে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়।
এমটিআই