ঢাকা: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এবার বাস্তবতা বর্হিভূত কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও কংগ্রেস নেত্রী ও সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যেন হিন্দুবাদী দল বিজেপির সুরেই সুর মেলালেন তারা।
একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার নিয়ে যে কাণ্ড ঘটে গেছে বাংলাদেশে, তাকে হিন্দু বিরোধী তকমা লাগানোর চেষ্টায় উঠে পরে লেগেছে ভারতের মোদি সরকার। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সাধারণ বিষয় নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দেয়া কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি আরও একধাপ এগিয়ে সীমান্ত অবরোধের ডাক দেওয়ার কথা বলেছে।
অথচ গত ২৪ নভেম্বর ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি মসজিদ সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৬ মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনো কথা নেই বিজেপি বা অন্য কারও। অনেকে মনে করছেন ভারতের মুসলিমদের হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা চাউর করা হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে শুরু থেকে চুপ ছিলেন মমতা ব্যানার্জী। তবে বিজেপির নেতা-নেত্রীরা প্রশ্ন তুলছিলেন যে পার্শ্ববর্তী দেশে যখন, তাদের কথায়, হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার চলছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই কেন!
এরপরই অনেকটা বিজেপির সুরে কথা বললেন মমতা। তিনি বলেছেন, কোনও ধর্মের ওপরেই আঘাত আসুক আমি চাই না। এখানে ইসকনের যিনি আছেন, তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এটা যেহেতু অন্য একটি দেশের বিষয়, তাই কেন্দ্রীয় সরকারকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ইস্যুতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের পাশেই আছি।
এর আগে তার দলের একজন সংসদ সদস্য, সৌগত রায় দিল্লির সংসদ ভবনে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছিলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা, চিন্তার বিষয়। হিন্দুদের ওপরে এই অত্যাচার হওয়া উচিত নয়। আমি এধরণের ঘটনার আমি নিন্দা জানাই।
এর আগে কংগ্রেস নেত্রী ও সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যাণ্ডেলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি ও “সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে ক্রমাগত ঘটে চলা সহিংসতার সংবাদ অত্যন্ত চিন্তাজনক”, লিখেছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করব যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হয় এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোরালো ভাবে তুলে ধরা হয়।
আইএ