ঢাকা : সামরিক আইন জারির ঘটনায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ক্ষমা চান তিনি। খবর বিবিসির।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইউন বলেন, দেশে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘোষণার ফলে যেকোনো আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে আরেকবার সামরিক আইন জারি করা হবে কিনা; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে এটা বলতে পারি যে, আরেকবার সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।’
ধারণা করা হচ্ছিল এই ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিবেন। কিন্তু তা না করে তিনি জানান, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দায়িত্ব ক্ষমতাসীন দলকে অর্পণ করবেন। এসময় তিনি অভিশংসন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আজ শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।
গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আইনপ্রণেতারা। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই অভিশংসনের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শুক্রবার দফায় দফায় জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো।
এমটিআই