ঢাকা: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসন ব্যবস্থার আকস্মিক পতনের পর আইএস জঙ্গি সংগঠনের লক্ষবস্তুতে কয়েক ডজন বিমান হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার (৮ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, তারা আইএস নেতৃবৃন্দ, কর্মী ও শিবির লক্ষ্য করে ৭৫টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল আসাদ সরকারের পতনের পর আইএস যেন সুযোগ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
সেন্টকম জানিয়েছে, বোয়িং বি-৫২ স্ট্র্যাটোফোরট্রেস এবং ম্যাকডোনেল ডগলাস এফ-১৫ ঈগল সহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে। তবে বেসামরিক হতাহতের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সেন্টকম কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেন, ‘সিরিয়ার সব সংস্থা ও সংগঠনকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, তারা যদি কোনওভাবে আইএসকে সমর্থন বা সহযোগিতা করে, তবে তাদের আমরা দায়ী করব।’
এই হামলা এমন এক সময়ে আসে যখন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসাদ সরকারের পতনকে ঝুঁকির মুহূর্ত এবং ঐতিহাসিক সুযোগ বলে উল্লেখ করেন।
হোয়াইট হাউজ থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে বাইডেন বলেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর হাতে আসাদের পতন সিরিয়ার দীর্ঘদিনের কষ্ট সহ্য করা জনগণের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি ঝুঁকির ও অনিশ্চয়তার মুহূর্ত। এখন আমরা সবাই কী আসবে তা নিয়ে ভাবছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অংশীদারদের সাথে এবং সিরিয়ার অংশীদারদের সাথে কাজ করবে যাতে তারা এই ঝুঁকি মোকাবিলা করে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে।
বাইডেন আসাদের পতনের জন্য আংশিক কৃতিত্ব দাবি করে বলেন, রাশিয়া, ইরান এবং হিজবুল্লাহর সমর্থনের অবসানের কারণে সিরিয়ায় এই বিজয় সম্ভব হয়েছে।
এম