ঢাকা: পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার দলের নেতাদের অনুরোধে ঘোষিত ‘সরকারবিরোধী আন্দোলন’ কয়েক দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। ইমরান খানের বোন আলিমা খান মঙ্গলবার আদিয়ালা জেলের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই ঘোষণা দেন।
আলিমা খান বলেন, ‘ইমরান খান দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এজন্য তিনি আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন’।
ইমরান খান এর আগে এক এক্স পোস্টে সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলেন, যদি তার দাবিগুলো পূরণ করা না হয়, তাহলে তিনি ‘সরকারবিরোধী আন্দোলন’ শুরু করবেন।
তার দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০২৩ সালের ৯ মে’র দাঙ্গা এবং পিটিআই বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো ২৬ নভেম্বরের দমন-পীড়নের বিচারিক তদন্ত এবং ‘রাজনৈতিক বন্দিদের’ মুক্তি।
এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য ইমরান খান পাঁচ সদস্যের একটি আলোচনা কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির সদস্যরা হলেন- ওমর আইয়ুব খান, আলি আমিন গান্দাপুর, সাহিবজাদা হামিদ রেজা, সালমান আকরাম রাজা ও আসাদ কায়সার।
গত সপ্তাহে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিকের সঙ্গে পিটিআই নেতা আসাদ কায়সারের বৈঠকের পর সরকার এবং পিটিআই-এর মধ্যে আলোচনা হওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল।
তবে, আসাদ কায়সার এ খবর অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমি স্পিকারের বাসভবনে গিয়েছিলাম কেবল সমবেদনা জানাতে। আলোচনার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি’।
এদিকে শাহবাজ সরকারও নিশ্চিত করেছে যে, পিটিআই-এর সঙ্গে এখনও কোনো আলোচনা শুরু হয়নি।
ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী জানিয়েছেন, ইমরান খান আন্দোলনের পক্ষে সাতটি যুক্তি তুলে ধরেছেন। যেগুলো তার মতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাকের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, যারা বিরোধী দলে রয়েছেন এবং ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাদের স্বাগত জানানো হবে।
সেই সঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, সরকার কারাগারে ইমরানের সঙ্গে বিরোধী নেতাদের সাক্ষাৎ করতে বাধা দিতে পারে।
ইমরান খান বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলেও পিটিআই নেতাদের অনুরোধে তা স্থগিত করেছেন। তার দাবি পূরণের ওপর নির্ভর করছে আন্দোলনের পরবর্তী দিকনির্দেশনা।
সূত্র: জিও নিউজ
আইএ