ঢাকা: পানামা খালকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, চীনা সেনারা পানামা খালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পানামার প্রেসিডেন্ট জোসে রাউল মুলিনো এ দাবিকে সরাসরি ‘ননসেন্স’ এবং ‘নিরর্থক’ বলে অভিহিত করেছেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনে (ক্রিসমাসের) ট্রাম্প তার ট্রুথ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে) একটি পোস্টে চীনা সেনাদের পানামা খালের নিয়ন্ত্রণে থাকার অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, চীনের সেনারা অবৈধভাবে পানামা খাল পরিচালনা করছে। এ ছাড়া, পানামাকে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করা’ এবং খালের মেরামত বাবদ ‘বিলিয়ন ডলার খরচ করানো’ নিয়ে অভিযুক্ত করেন।
এ অভিযোগের জবাবে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পানামার প্রেসিডেন্ট মুলিনো বলেন, পানামা খালে কোনো চীনা সেনা নেই। যে কেউ চাইলে খাল পরিদর্শন করতে পারে। এটি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি ট্রাম্পের দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পানামা সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে মুলিনো বলেন, আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা নিয়ে কোনো আপস নেই। পানামা খাল আমাদেরই এবং এর সকল কার্যক্রম পানামা সরকার পরিচালনা করে।
পানামা খাল আটলান্টিক এবং প্যাসিফিক মহাসাগরের মধ্যে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ। যদিও খালের প্রবেশপথের কাছে অবস্থিত দুটি বন্দর হংকংভিত্তিক একটি সংস্থা পরিচালনা করে, তবে এটি খালের কার্যক্রমের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
মুলিনো স্পষ্ট করে বলেন, পানামা খালে কোনো চীনা প্রভাব বা অংশগ্রহণ নেই। চীনা উপস্থিতি যদি কিছু থেকে থাকে, তা কেবল পর্যটক বা জাহাজের যাত্রী হিসেবেই।
শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পানামা খালের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রয়েছে এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনো ধরনের বিদেশি শক্তির প্রভাব নেই। পানামা খাল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন এবং এর নিরাপত্তা ও পরিচালনা পানামার একচ্ছত্র অধিকার।
আইএ