ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিয়েন্স শহরে নতুন বছরের ক্ষণ উদযাপনকারী লোকজনের ওপর মার্কিন সেনাবাহিনীর এক সাবেক সদস্যের পিকআপ ট্রাক হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে পৌঁছেছে।
গতকাল বুধবারের (১ জানুয়ারি) এই নারকীয় হামলায় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, হামলাকারী ৪২ বছর বয়সী শামসুদ্দিন জব্বার একজন মার্কিন নাগরিক ও টেক্সাসের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি হাউসটন ভিত্তিক একটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীতে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কাজ করেছেন।
পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট এনি কির্কপ্যাট্রিক জব্বারকে একজ সন্ত্রাসী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এফবিআই জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত ট্রাকটি থেকে আইএসআইএসের একটি পতাকা পাওয়া গেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, এফবিআই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে খোঁজখবর করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলাকে ‘ঘৃণ্য’ তৎপরতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, জব্বারের পোস্ট করা অনলাইন ভিডিওর কারণে ধরে নেওয়া হচ্ছে আইএসআইসের মাধ্যমে সে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জেফ লান্ড্রি বলেছেন, তারা বেশ কিছু খারাপ লোককে খুঁজে বের করতে কাজ করছেন।
এদিকে, নিউ অরলিয়েন্স করোনার অফিসের বরাত দিয়ে এফবিআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গতকালের হামলায় মোট ১৫ জন নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৫ সালকে বরণ করে নেওয়ার জন্য ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার এলাকার প্রাণকেন্দ্রে জনতার ভিড়ে ভোররাত সোয়া তিনটায় এই হামলাটি চালানো হয়। জব্বার এ সময় তার সাদা রঙের ফোর্ড এফ-১৫০ ইলেকট্রিক পিকআপটি পথচারীদের ওপর তুলে দেয়। পরে সে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যায়। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। এফবিআই জানায়, এ সময় গাড়িটি থেকে বাড়িতে তৈরি দুটি বোমাও উদ্ধার করা হয়।
পেন্টাগনের তথ্য বলছে, শামসুদ্দিন জব্বার ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মার্কিন সেনাবাহিনীতে একজন মানবসম্পদ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সদস্য হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল নাগাদ তিনি আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন এবং চাকরির শেষ বেলায় স্টাফ সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এসআই