• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩০

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাস

ঢাকা : দীর্ঘ আলোচনার পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলে মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় উল্লাসে ফেটে পড়েছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা। তারা আশা করছেন, অবশেষে গত ১৫ মাস ধরে চলা ধ্বংসাত্মক এই যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইসরায়েল ও হামাস একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা অন্তর্ভুক্ত। ইসরায়েল বলছে, কয়েকটি বিষয় এখনও রয়েছে, যদিও হামাস এটি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের আনন্দ সঙ্গে শোক মিশে গেছে, কারণ তারা যুদ্ধে অনেক প্রিয়জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বেঁচে আছে। যে যুদ্ধকে অধিকার গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা সুযোগ পেলেই তাদের শহর ও গ্রামে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কারণ, ইসরায়েলি আক্রমণ এবং তথাকথিত ‘উচ্ছেদের আদেশ’ তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় দুই সন্তান হারানো ৬৬ বছর বয়সী উম্মে মোহাম্মদ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হলেই আমি ফিরে যাব এবং উত্তর গাজার বেইত হানুনে আমার ভূমি চুম্বন করব।’

৪৭ বছর বয়সী চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু রাই বলেন, ‘আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। তবে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, আমরা যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারি।’

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখের বেশি আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, গাজায় ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে স্কুল, হাসপাতাল ও বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে জীবন ধারণকারী প্রায় সমস্ত মৌলিক পরিষেবা ও কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার দেখেছে, গাজা উপত্যকার ৬৬ শতাংশ কাঠামো ইসরায়েলি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

যুদ্ধের শুরুতে গাজার ওপর ইসরায়েল তার বিদ্যমান অবরোধ আরও জোরদার করে, যার ফলে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ এবং জনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্বর এ বাহিনীর নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!